Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলার ঐতিহ্য

উপজেলার ঐতিহ্য

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানিকগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর জনসাধারণ পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে ইতিহাসে স্মরণীয় অধ্যায় সৃষ্টি করেছিলেন। মানিকগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মরণীয় অধ্যায়ের প্রস্ত্ততি শুরু হয়েছিল ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চেই। ২৫শে মার্চ ঢাকার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার সংবাদ মানিকগঞ্জে প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথেই মানিকগঞ্জে যুদ্ধ পরিচালনা কাউন্সিল গঠন করা হয়। এই কমান্ডো কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ ছিলেন সর্ব জনাব ১। মোসলেম উদ্দিন খান হাবু মিয়া ২। ক্যাপ্টেন (অবঃ) আব্দুল হালিম চৌধুরী ৩। মাজহারুল ইসলাম চান মিয়া ৪। ডাঃ মীর আবুল খায়ের ঘটু (নির্বাচিত প্রাদেশিক সংসদ সদস্য) ৫। খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ৬। সৈয়দ আনোয়ার আলী চৌধুরী ৭। মফিজুল ইসলাম খান কামাল। ২৫শে মার্চ রাত এগারটায় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানিকগঞ্জের ট্রেজারীতে গচ্ছিত সকল রাইফেল (প্রায় ছয়শত টি) হস্তগত করে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মানিকগঞ্জে পাকবাহিনী কর্তৃক গণহত্যার আংশকা বিবেচনা করে মাত্র ছত্রিশটি রাইফেল রেখে বাকী রাইফেল ট্রেজারীতে ফেরৎ দেওয়া হয়। ৮ই এপ্রিল মানিকগঞ্জ শহর পাকবাহিনীর করতলগত হওয়ার পর কমান্ড কাউন্সিলের সদস্যবর্গ বিচ্ছিন্ন পয়ে পড়েন। ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন হাবু মিয়া চলে যান হরিরামপুরের সুতালড়ি গ্রামে। সেখানে তারা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের প্রস্ত্ততি শুরু করেন। মফিজুল ইসলাম খান কামাল কিছুদিন মানিকগঞ্জের অভ্যন্তরে অবস্থান করে সীমান্তের ওপারে চলে যান মে মাসের দিকে। পরবর্তীতে তিনি মুজিব বাহিনীর লীডার হিসাবে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ডাঃ মীর আবুল খায়ের ঘটুও ভারতে চলে যান। মোসলেম উদ্দিন খানও পরবর্তীতে ভারতে চলে যান। এইভাবে কমান্ড কাউন্সিলের সদস্যবর্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের তাদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকে। মানিকগঞ্জের ইতিহাসকে তাই নিম্নোক্তভাবে ভাগ করে দেখা যেতে পারে।

* প্রাথমিক পর্যায়ঃ

২রা মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ ১৯৭১ প্রস্ত্ততি পর্ব।

* দ্বিতীয় পর্যায়ঃ

২৬শে মার্চ থেকে জুন ১৯৭১ঃ এই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ভারত গিয়ে ট্রেনিং গ্রহণ ও ট্রেনিং শেষে অস্ত্রসহ দেশের অভ্যন্তরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ।

* তৃতীয় পর্যায়ঃ

৫ই জুলাই ১৯৭১ হতে ডিসেম্বর ১৯৭১ পূর্ণাঙ্গ মুক্তিবাহিনী সংগঠিত ও পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ পরিচালনা।

মানিকগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের তৎকালীন সংগঠকগণঃ

২রা মার্চ - ১৪ই এপ্রিল (মানিকগঞ্জ শহর হানাদার বাহিনী কর্তৃক পতন পর্যন্ত)

মানিকগঞ্জ জেলার কমান্ডো কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ সর্বজনাবঃ ১। মোসলেম উদ্দিন খান হাবু মিয়া ২। ক্যাপ্টেন (অবঃ) আব্দুল হালিম চৌধুরী ৩। মাজহারুল ইসলাম চান মিয়া ৪। ডাঃ মীর আবুল খায়ের ঘটু (নির্বাচিত প্রাদেশিক সংসদ সদস্য) ৫। খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ৬। সৈয়দ আনোয়ার আলী চৌধুরী ৭। মফিজুল ইসলাম খান কামাল।

১৫ এপ্রিল - আগস্ট ১৯৭১

সংগঠকঃ অধিনায়ক

ক্যাপ্টেন (অবঃ) আব্দুল হালিম চৌধুরী (সমগ্র মানিকগঞ্জ জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহ যথা নবাবগঞ্জ দোহার থানাসহ ঢাকা পশ্চিম অঞ্চলের ২২ টি থানা।

সংগঠকঃসহ অধিনায়ক আব্দুল মতিন চৌধুরী (সেকেন্ড ইন কমান্ড) অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ চান মিয়া (সেকেন্ড ইন কমান্ড) আব্দুর রশীদ খান- সদস্য।

সংগঠক/অধিনায়কঃ

সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ অঞ্চলঃতোবারক হোসেন লুডু, আবুল হক (বেঙ্গল রেজিমেন্ট) সিদ্দিক মাষ্টার বি এল এফ।

সেপ্টেম্বর ১৯৭১ হতে ১৬ই ডিসেম্বর ঃ৭১ আনুষ্ঠানিকভাবে ২নং সেক্টরের অধীনে ঢাকা পশ্চিমাঞ্চল গঠিত (মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা উঃ ও ঢাকা দক্ষিণ এর অন্তর্গত মোট ২২ টি থানা নিয়ে গঠিত)।

সেক্টর কমান্ডারঃ

মেজর খালেদ মোশাররফ

মেজর হায়দার

এরিয়া কমান্ডারঃ

ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী

সেকেন্ড-ইন-কমান্ডঃ

আব্দুল মতিন চৌধুরী

অপারেশনের স্বার্থে কয়েকটি থানা নিয়ে একটি ইউনিট গঠন করা হয়ঃ

ইউনিট কমান্ডারবৃন্দঃ

  • প্রিন্সিপাল আব্দুর রউফ চান মিয়াঃ হরিরামপুর-শিবালয়-ঘিওর-দৌলতপুর অঞ্চল
  • তোবারক হোসেন লুডুঃ সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়া-সাভার অঞ্চল
  • সিরাজউদ্দিনঃ নবাবগঞ্জ-দোহার-কেরানীগঞ্জ।

থানা ভিত্তিক অধিনায়কবৃন্দঃ

  • মানিকগঞ্জঃ দেওয়ান শফিকুল ইসলাম
১। বেটা কোম্পানীঃ

জনাব আবুল বাশার (মরহুম) বিমান বাহিনীর সদস্য

২। আলফা কোম্পানীঃ

জনাব গোলাম মহীউদ্দিন ও আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী (হারুন মিয়া)

৩। চার্লি কোম্পানীঃ

জনাব মৈনুদ্দিন চৌধুরী (শুকুর) ও সিপাই আবুল হাকিম

৪। ডেলটা কোম্পানীঃ

জনাব আবুল খালেক ইপিআর এর সদস্য (রংপুর বাড়ী)

১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন মানিকগঞ্জ মহকুমার বি,এল,এফ (মুজিব বাহিনীর) কাঠামোঃ
  • জনাব মফিজুল ইসলাম খান কামাল, লিডার, মানিকগঞ্জ মহকুমা।
  • জনাব শাহাদত হোসেন বিশ্বাস বাদল, ডেপুটি লিডার, মানিকগঞ্জ মহকুমা।

মানিকগঞ্জ সদর থানাঃ

  • জনাব শাহাদত হোসেন বিশ্বাস বাদলঃ ডেপুটি।
  • জনাব সৈয়দ সারোয়ার আলম চৌধুরীঃ ডেপুটি লিডার (পরবর্তীতে) লিডার।
  • জনাব ইকবাল হোসেন খানঃ ডেপুটি লিডার।
এক নজরে মানিকগঞ্জ মুক্তি বাহিনীর সাফল্য

(১)        ১৭ই জুন, ১৯৭১ঃ চারিগ্রামে লঞ্চে আক্রমন, নদী পথে মানিকগঞ্জ-ঢাকা লঞ্চ চলাচল বন্ধ।

(২)        ১৭ই জুলাই, ১৯৭১ঃ ঘিওর থানা আক্রমন, কয়েকজন পাক পুলিশ আহত, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার।

(৩)        ১৮ই জুলাই, ১৯৭১ঃ মাচাইন যুদ্ধ, বহুু পাকসেনা আহত, একজন পাকপন্থী দারোগা নিহত, বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার।

(৪)        ২২শে জুলাই, ১৯৭১ঃ সুতালড়ি যুদ্ধ, বাংকার আক্রমন, ৫ জন পাকসেনা নিহত।

(৫)        ২৯শে জুলাই, ১৯৭১ঃ মানিকগঞ্জ মিলিশিয়া ক্যাম্প আক্রমন, সাতজন পাকসেনা নিহত।

(৬)        ১৩ই আগস্ট, ১৯৭১ঃ বায়রার যুদ্ধ ১৫ জন পাকসেনা নিহত।

(৭)        ২১শে আগস্ট, ১৯৭১ঃ বেতিলায় রাজাকার ক্যাম্প আক্রমন, ৩ জন রাজাকার নিহত।

(৮)        ২৬শে আগস্ট, ১৯৭১ঃ বালিরটেক মিলিটারী ক্যাম্প আক্রমন, ৭ জন পাকসেনা নিহত।

(৯)        ২৯শে আগস্ট, ১৯৭১ঃ নয়াডিঙ্গি ব্রীজ ধ্বংস।

(১০)       ৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ঃ ভায়াডুবি ব্রীজ ধ্বংস।

(১১)       ২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ঃ পাক বাহিনী কর্তৃক গানবোট, লঞ্চ ও হেলিকপ্টার যোগে আজিমনগর ও তরা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমন, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আহত, পাকবাহিনী কর্তৃক ব্যাপক ধ্বংসলীলা সাধন।

(১২)       ১৩ই অক্টোবর, ১৯৭১ঃ হরিরামপুর সিও অফিস ও থানা আক্রমন, ৬০ জন পাকসেনা নিহত, ৪ জন জীবন্ত ধৃত, মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজ অগ্নিদগ্ধ হয়ে পরবর্তীতে শাহাদত বরণ করেন, বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার।

(১৩)      ২৮শে অক্টোবর, ১৯৭১ঃ ঐতিহাসিক গোলাইডাঙ্গা যুদ্ধ, শতাধিক পাকসেনা নিহত। বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার, পাকবাহিনী কর্তৃক পরবর্তীতে ধ্বংসযজ্ঞ।

            তিন শতাধিক পাকসেনার একটি দল সিঙ্গাইর ক্যাম্প অভিমুখে রওনা, নূরানীগঙ্গা খালের মোড়ে মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক আক্রমন। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে পাকসেনাদের তিনটি নৌকা ডুবি একজন মেজরসহ শতাধিক পাকসেনা নিহত।

(১৪)       ৬ই নভেম্বর, ১৯৭১ঃ মহাবেদপুর ব্রীজ ধ্বংস।

(১৫)      ২২শে নভেম্বর, ১৯৭১ঃ ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামে পাকবাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে প্রিন্সিপাল আতিয়ার রহমানসহ ৪১ জন গ্রামবাসী নিহত। তেরশ্রীর জমিদার বাবু সিদ্ধিস্বর রায় প্রসাদ চৌধুরীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা।

            এ মাসেই পাকসেনারা শিবালয় উপজেলার নয়াবাড়ীতে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প আক্রমন করলে দু’পক্ষের মধ্যে চার ঘন্টা ব্যাপি যুদ্ধ চলে এবং শেষ পর্যন্ত পাকসেনারা পশ্চাদপসরণ করে।

(১৬)      ২৮শে নভেম্বর, ১৯৭১ঃ ঘিওর থানার নারচী ও কুস্তা গ্রামের মাঝ পথে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ। ২ জন পাকসেনার আত্মসমর্পন এবং অনেক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার।

(১৭)       ৮ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ দাসকান্দি যুদ্ধ, কয়েকজন পাকসেনা আহত, বালিরটেক যুদ্ধে পাকবাহিনী কর্তৃক বন্দী ২ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত।

(১৮)      ১০ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ বরুন্ডী যুদ্ধ, ২ জন পাকসেনা ধৃত, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার।

            শিবালয় থানার নয়াবাড়ী মীরপুর গ্রামে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ, মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মোঃ মুনসুর আলম খান আহত। পাকবাহিনী কর্তৃক গ্রামে অগ্নিসংযোগ ধ্বংসলীলা।

(১৯)       ১২ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাগজীনগর গ্রামে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমনে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ।

(২০)      ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ ধল্লার যুদ্ধ, সাতজন পাকসেনা নিহত, ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ (শহীদ আনিস, শহীদ রাজিব, শহীদ শরিফুল ইসলাম)।

(২১)       ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ পাক সেনাদের সঙ্গে বালিরটেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ। একজন পাকসেনা বন্দি এবং মুক্তিযোদ্ধা নওশের মোল্লা শহীদ হন।

(২২)      ১৫ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ মানিকগঞ্জ সেওতা-মানরার যুদ্ধ শতাধিক পাকসেনা আহত, একজন মুক্তিযোদ্ধা চান মিয়া শাহাদত বরণ করেন এবং বাদল আহত হন।

            পলায়নপর পাকসেনাদের সঙ্গে গাজিন্দা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের এক যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তাতে গাজিন্দা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান, ছক্কেল উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম ও রহিজ উদ্দিন শহীদ হন।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা

 

১।         স্কোয়াড্রন লিডার (অবঃ) বদরুল আলম (বীরউত্তরম) বারাহির চর, মানিকগঞ্জ।

২।         মরহুম ইব্রাহীম খান (বীরপ্রতীক) বরংগাখোলা, মানিকগঞ্জ।

৩।         মোঃ আতাহার আলী খান (বীরপ্রতীক) বাড়াইভিকরা, মানিকগঞ্জ।

মানিকগঞ্জে যেমন একদিকে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল তেমনি বুদ্ধিজীবি সমাজও বিভিন্নভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা প্রদান করেছিলেন। তাঁদের অনেকেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সংগঠিত ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়েছেন। একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ শহর ১৩ই ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী মুক্ত হয় এবং এ দিনটিকে স্মরণীয় রাখার জন্য প্রতি বছর মানিকগঞ্জে ১৩ই ডিসেম্বর থেকে বিজয় মেলা শুরু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নঃ

বধ্যভূমিঃ প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এলাকা, তরা ঘাট বলাই বাবুর বাড়ী।

গণকবরঃথানা পুকুরের পার্শ্ববর্তী এলাকা।

শহীদ স্মৃতিস্তম্ভঃমানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পার্শ্বস্থ চত্ত্বর,।

তথ্যসূত্রঃ        * মানিকগঞ্জ জেলার ইতিহাস, সম্পাদকঃ সাইফউদ্দীন, প্রাক্তন জেলা প্রশাসক, মানিকগঞ্জ।

                     * বাংলাপিডিয়া এবং শিখা চিরন্তন স্মরনিকা।